কোন দু'আ পড়লে কি আমল হয় | আল্লাহর শ্রেষ্ঠ জিকির সমূহ | কোরআনে বর্ণিত সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া | দৈনিক দোয়া সমূহ | Dua & Zikir

কোন দু'আ পড়লে কি আমল হয় | আল্লাহর শ্রেষ্ঠ জিকির সমূহ | কোরআনে বর্ণিত সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া | দৈনিক দোয়া সমূহ | Dua & Zikir



কোন দু'আ পড়লে কি আমল হয়, আল্লাহর শ্রেষ্ঠ জিকির সমূহ,  কোরআনে বর্ণিত সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া,  দৈনিক দোয়া সমূহ, Dua & Zikir
কোন দু'আ পড়লে কি আমল হয়


আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করার দোয়া


সকালে (বা বিকালে) বলবেন, 


আল্লা-হুম্মা মা আসবাহা (আমসা) বী মিন নি'মাতিন আউ বিআহাদিন মিন খালকিকা ফামিনকা ওয়াহ্দাকা লা শারীকা লাকা, ফালাকাল হাম্দু ওয়ালাকাশ শুকুরু


হে আল্লাহ! যে নেয়ামত আমার সাথে সকালে (বিকালে) উপনীত হয়েছে, অথবা আপনার সৃষ্টির অন্য কারও সাথে; এসব নেয়ামত কেবলমাত্র আপনার নিকট থেকেই, আপনার কোনো শরীক নেই। সুতরাং সকল প্রশংসা আপনারই। আর সকল কৃতজ্ঞতা আপনারই প্রাপ্য। 


যে ব্যক্তি সকালবেলা উপরোক্ত দোাআ পাঠ করলো সে যেন সেই দিনের শুকরিয়া আদায় করলো। আর যে ব্যক্তি বিকালবেলা এ দোআ পাঠ করলো সে যেন রাতের শুকরিয়া আদায় করলো।


হাদীসটি সংকলন করেছেন, আবু দাউদ ৪/৩১৮, নং ৫০৭৫; নাসাঈ, আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, নং ৭, ইবনুস সুরী, নং ৪১; ইবন হিব্বান, (মাওয়ারিদ) নং ২৩৬১। আর শাইখ ইবেন বায তাঁর তুহফাতুল আখইয়ার পূ. ২৪ এ এর সনদকে হাসান বলেছেন।


জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লাভের দোয়া

(আল্লাহর শ্রেষ্ঠ জিকির সমূহ)


 সকালে (বা বিকালে) চার বার বলবে,


আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসবাহৃতু (আমসাইতু) উশহিদুকা ওয়া উশহিদু হামালাতা 'আরশিকা ওয়া মালা-ইকাতিকা ওয়া জামী'আ খালক্িকা, আন্নাকা আনতাল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লा আনতা ওয়াহ্দাকা লা শারীকা লাকা, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আব্দুকা ওয়া রাসূলুকা


হে আল্লাহ! আমি সকালে (বিকালে) উপনীত হয়েছি। আপনাকে আমি সাক্ষী রাখছি, আরও সাক্ষী রাখছি 'আরশ বহনকারীদেরকে, আপনার ফেরেশতাগণকে ও আপনার সকল সৃষ্টিকে, (এর উপর) যে- নিশ্চয় আপনিই আল্লাহ, একমাত্র আপনি ছাড়া আর কোন হক্ক ইলাহ নেই, আপনার কোনো শরীক নেই; আর মুহাস্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনার বান্দা ও রাসূল। 


যে ব্যক্তি সকালে আথবা বিকালে তা চারবার বলবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত করবেন।

 আবু দাউদ ৪/৩১৭, নং ৫০৭১; বুখারী, আল- আদাবুল মুফরাদ, নং ১২০১; নাসাঈ, 'আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ, নং ৯; ইবনুস সুন্ী, নং ৭০


ক্ষমা চাওয়ার শ্রেষ্ঠ দোআ (তওবার শ্রেষ্ঠ দোয়া)


সায়্যিদুল ইসতিগফার


আল্লা-হু্মা আনতা রব্বী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খলাকুতানী ওয়া আনা 'আব্দুকা,ওয়া আনা 'আলা 'আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাস্তাত্বাতু। আউযু বিকা মিন শাররি মা সানাতু,আবূউলাকা বিনি'মাতিকা 'আলাইয়্যা, ওয়া আবূউ বিযাম্বি। ফাগফির লী, ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা। 


হে আল্লাহু আপনি আমার রব্ব, আপনি ছাড়া আর কোনাে হক্ ইলাহ নেই। আপনি আামাকে সৃষ্টি করেছেন | এবং আমি আপনার বান্দা।

আর আমি আমার সাধ্য মতো আপনার (তাওহীদের) অঙ্গীকার ও (জান্নাতের) প্রতিশ্রতির উপর রয়েছি। আমি আমার কৃতক্মের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় চাই।

আপনি আমাকে আপনার যে নিয়ামত দিয়েছেন তা আমি স্বীকার করছি, আর আমি স্বীকার করছি আমার অপরাধ। 

অতএব আপনি আমাকে মাফ করুন। নিশ্চয় আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহসমূহ মাফ করে না।


যে ব্যক্তি সকালবেলা অথবা সন্ধ্যাবেলা এটি অর্থ ইসতিগফার) বুঝে বিশ্বাসসহকারে পড়বে, সে ঐ দিন রাত বা দিনে মারা গেলে অবশ্যই জান্নাতে যাবে।


উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমলের দোআ (সকালের জিকির সমূহ)


ফজর নামাযের সালাম ফিরানোর পর পড়বে,


আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা ইলমান না-ফিআন ওয়া রিযকান ত্বায়্যিবান ওয়া 'আমালান মুতাক্বালান


হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্ররিযিক এবং কবুলযোগ্য অমল প্রার্থনা করি।


ইবন মাজাহ, নং ৯২৫; নাসাঈ, তাঁর আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ গ্রন্থে, হাদীস নং ১০২। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ১/১৫২;


সমুদ্রের ফেনারাশির মত হয় পাপ ক্ষমা পাওয়ার দোয়া (কোরআনে বর্ণিত সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া)


প্রত্যেকটি ৩৩ বার করে বলবে,

সুবহা-নাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লা-হু আকবার


আল্লাহ কতই না পবিত্র-মহান। সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। 


তারপর বলবে,


লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহ্ল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইইন কাদীর 


একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ক ইলাহ নেই, তাঁর কোনাে শরীক নেই, রাজত্ব তাঁরই, সকল প্রশংসা তাঁরই এবং তিনি সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান। 


যে ব্যক্তি প্রতি নামাযের পরে এটা বলবে, তার পাপরাশি ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির মত হয়। 

মুসলিম, ১/৪১৮, নং ৫৯৭


জাহান্নাম থেকে আশ্রয় এবং জান্নাত চাওয়ার দোআ

 

আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আউযু বিকা মিনান্নার। 


হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই 


আবু দাউদ, নং ৭৯২; ইবন মাজাহ নং ৯১০। আরও দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ, ২/৩২৮।


কূপণতা, কাপুরুষতা, বার্ধক্য এবং ফিতনা থেকে আশ্রয় চাওয়ার দোআ


আল্লা-হুম্মা ইন্নী আউযু বিকা মিনাল বুখলি, ওয়া 'আউযু বিকা মিনাল জুবনি, ওয়া আউযু বিকা মিন আন উরাদ্দা ইলা আরযালিল্ 'উমুরি, ওয়া আউযু বিকা মিন্ ফিতনাতিদ দুনইয়া ও আযা-বিল কাবরি।


হে আল্লাহা! আমি আপনার আশ্রয় চাই কৃপণতা থেকে, আপনার আশ্রয় চাই কাপুরুষতা থেকে, আপনার আশ্রয় চাই চরম বার্ধক্যে উপনীত হওয়া থেকে, আর আপনার আশ্রয় চাই দুনিয়ার ফিতনা ও কবরের আযাব থেকে।


 বুখারি, (ফাতহুল বারীসহ) ৬/৩৫, নং ২৮২২ ও নং

৬৩৯০।


কবর ও জাহান্নামের আযাব এবং জীবন, মূত্যু ও দাজ্জালের ফিতনা থেকে আশ্রয় চাওয়ার দোআ


আল্লা-হম্মা ইন্নী আউযু বিকা মিন আযা-বিল কাবরি ওয়া মিন 'আযা-বি জাহান্নামা, ওয়া মিন ফিতনাতিल মাহুইয়া ওয়াল মামা-তি, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসীহিদ দাজ্জা-ল।


হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কবরের আযাব থেকে, জাহান্নামের আযাব থেকে, জীবন-মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং মাসীহ দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্টতা থেকে।


 বুখারী ২/১০২, নং ১৩৭৭; মুসলিম ১/৪১২, নং ৫৮৮। আর শব্দ মুসলিমের।


জ্ঞান বৃদ্ধি চাওয়ার দোয়া 


রাব্বি যিদ্নি ইলমা


হে আমার রব, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন সূরা ত্বাহা - ২০:১১৪


মুখের জড়তা দূর করার দোয়া 


রব্বিশ রহ্লি ছোয়াদ্রী । অ ইয়াস্রিলিয় আম্রি। ওয়াহ্লুল উকদাতাম মিল্লিসা-নী।ইয়াফকাহু ক্বওলী।


হে আমার রব, আমার বুক প্রশস্ত করে দিন এবং আমার কাজ সহজ করে দিন। আর আমার জিহবার জড়তা দূর করে দিন। যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে। 

সূরা দ্বহা ২০:(২৫-২৮)



জান্নাতের একটি খেজুর গাছ রােপনের দোয়া 

(আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় জিকির)


যে ব্যক্তি বলবে,

সুবহানাল্লা-হিল 'আযীম ওয়াবিহামদিহী 


মহান আল্লাহর প্রশংসার সাথে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘােষণা করছি ...তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হবে।


 তিরমিযী ৫/১১, নং ৩৪৬৪; হাকেম-১/৫০১ এবং এটাকে সহীহ বলেছেন। আর ইমাম যাহাবী তার সাথে একমত হয়েছেন। দেখুন, সহীনুল জামে ৫/৫৩১; সইীহ তিরমিযী ৩/১৬০।



অতিবৃষ্টি বন্ধের জন্য কিছু দোআ


আল্লা-হুস্মা হাওয়ালাইনা ওয়ালা 'আলাইনা।আল্লা-হু্মা আলাল-আ-কা-মি ওয়ায্যিরা-বি ওয়াবুতুনিল আওদিয়াতি ওয়ামানা-বিতিশ শাজারি



হে আল্লাহ! আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় (বর্ষণ করুন), আমাদের উপর নয়। হে আল্লাহ! উচু ভূমিত, পাহাড়ে, উপত্যকার কোলে ও বনাঞ্চলে (বর্ষণ করুন)। 


বুখারী ১/২২৪, নং ৯৩৩; মুসলিম ২/৬১৪, নং ৮৯৭।

Next Post Previous Post

Featured Posts