কি কারনে ফেজবুক আইডি ডিজেবল হয় |ফেসবুক আইডি সুরক্ষিত রাখার উপায়|How to solved facebook account disabled
কি কারনে ফেজবুক আইডি ডিজেবল হয় |ফেসবুক আইডি সুরক্ষিত রাখার উপায়|How to solved facebook account disabled
ফেজবুক বর্তমানে জনপ্রিয় একটি সোসিয়াল মিডিয়া তে পরিণত হয়েছে।ফেজবুক সম্পর্কে জানেনা এমন লোক পাওয়া খুবই দুষ্কর ব্যাপার এবং প্রায় প্রত্যেক ব্যক্তির একটি করে ফেজবুক একাউন্ট রয়েছে।
আপনার শখের ফেসবুক আইডিতে লগইন(facebook login check)করার সময় হঠাৎ করে দেখতে পারছেন যে আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন হচ্ছে না।আপনার অজান্তেই আপনার ফেসবুক একাউন্ট ডিজেবল হয়ে গেছে। অনেকেই জানেনা যে তাদের ফেসবুক আইডি কি কারনে ডিজেবল হয়ে গেছে।
ফেসবুক কমিনিউটি স্ট্যান্ডার্ডদের তাদের কিছু নিয়ম রয়েছে তাদের সে নিয়মগুলি ভঙ্গ করলে ফেসবুক আইডি ডিজেবল(facebook account disabled) করে দেয় তারা।
আজকের এই আর্টিকেলে ফেসবুক একাউন্ট কি কারনে ডিজেবল হয় তার কিছু সম্ভাব্য কারণ জানব।
নিম্নে যে কারনে ফেজবুক একাউন্ট ডিজেবল(How to solved facebook account disabled) হয় সেগুলো পড়ে নিন এবং আপনার একাউন্ট সুরক্ষিত রাখুন।
কি কারনে ফেজবুক আইডি ডিজেবল হয়
তার কারন ও সমাধান
ফেসবুকে একাউন্ট খোলার সময় অনেক সময় দেখা যায় মিথ্যা নাম,ছদ্মনাম,স্টাইলিস ফন্ট, নিজের নাম না দেওয়া, যুক্ত নাম ব্যবহার করা। এমন নাম বা পরিচয় ব্যবহার করলে ফেসবুক একাউন্ট ডিজেবল(facebook account
disabled) হয়ে যেতে পারে। ফেসবুক প্রোফাইলের নাম চেঞ্জ করা এখন খুবই সহজ তাই আপনার অনাকাঙ্খিত নাম বদলে একটি সাধারন স্বাভাবিক নাম ব্যবহার করুন।
সাধারণ ভাবে দেখা যায় অনেকে ফেজবুকের নাম দেয়,Pakhi,pori,angel ইত্যাদি।
তাছাড়া আপনার কোনও ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠান থাকলে, সেই নামে ফেজবুক পেজ খুলতে পারেন।
ফেজবুকে একাউন্ট খোলার সময় আপনার নিজস্ব পরিচয় দেওয়া উচিত। কারন,কোন কারনে আপনার একাউন্ট ডিজেবল হলো, একাউন্টে আইডেন্টিটি ভেরিফিকেশন করার জন্য নিজের পরিচয়ের বা ব্যক্তিগত তথ্যের প্রয়োজনে।
ফেজবুকের কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে তাদের পলিসি নীতি ভঙ্গ করলে বিনা নোটিশে আপনার ফেজবুক একাউন্ট ডিজেবল(facebook account disabled) করে দিতে পারে।
অনুপযুক্ত কনটেন্ট কিছুটা দেওয়া হলোঃ
নগ্নতা কিংবা সেক্সুয়ালি,
সাজেস্টভ কনটেন্টহেইট স্পিচ,
হমকি কিংবা কোনো নির্দিষ্ট ব্যাক্তি বা গোষ্টির উপর আক্রমণাত্মক পোস্ট
নিজের ক্ষতি বা অন্যের প্রতি সহিংতা বাড়িয়ে তোলে এমন পোস্ট কনটেন্ট
ফেজবুক চায়না তাদের সাইটে অযতা কন্টেন্ট পোস্ট দ্বারা ভর্তি হোক।তাই নিজের প্রোফাইলে, গ্রুপে কিংবা পেজে মাত্রাতিরিক্ত পোস্ট করলে ফেজবুক একাউন্ট ডিজেবল(facebook account
disabled) হয়ে যায়।
তাই,অযথাই পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
অতিরিক্ত লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করলে ফেজবুক প্রথমে নোটিফিকেশন মাধ্যমে জানিয়ে দেয় অতিরিক্ত লাইক, কমেন্ট, শেয়ার না করতে। তাদের নোটিফিকেশন অবজ্ঞা করলে ফেসবুক ডিজেবল(facebook account disabled) করে দেয় তারা।
লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করবেন কেনও করবেন না। কিন্তু মাত্রা ছারিয়ে লাইক, কমেন্ট, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকুন।
আপনি একই সময়ে একাধিক গ্রুপে জয়েন করলে ফেসবুক স্পামিং জয়েন হিসেবে ধরে নেয়।এতে ব্লক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। একই নিয়ম ফেজবুক পেজের ক্ষেত্রে।
মাত্রা ছারিয়ে গ্রুপে জয়েন করা থেকে সাবধানে থাকতে হবে।
ফেসবুকে VPN করা একটি ঝুঁকিপূর্ণ কাজ কারন, VPN ব্যবহার করলে অল্পসময়ের মধ্যে ব্যবহারকারীর লোকেশন পরিবর্তন হয়। তখন ফেজবুক সেই একাউন্টের উপর নজর দেয়।কারন এটি হ্যাকিং এটেম্পট(facebook account hacked)আমলে পরে।
বার বার VPN ব্যবহার করলে ফেজবুক ব্যবহারকারীকে ভেরিফিকেশন বা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়।শেষ পর্যন্ত সঠিক তথ্য না দিতে পারলে ফেজবুক একাউন্ট নষ্ট(facebook account disabled) হয়ে যায়।
ফেজবুক স্পামিং রুখতে নানা লিংক শেয়ার, বা ব্লগ সাইটের লিংক শেয়ার বন্ধ করে দেয়। কারন তাদের পলিসি ভায়োলেশন মধ্যে পরে। এমন লিংক বারবার শেয়ার করলে ফেজবুক একাউন্ট ডিজেবল(facebook account
disabled) হতে পারে।তাই, একই লিংক শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
কি কারনে ফেজবুক আইডি ডিজেবল হয় |ফেসবুক আইডি সুরক্ষিত রাখার উপায় |
How to solved facebook account disabled
ফেসবুক একাউন্ট সুরক্ষিত রাখার উপায়গুলো
ফেসবুকে একাউন্ট খোলার সময় অনেক সময় দেখা যায় মিথ্যা নাম,ছদ্মনাম,স্টাইলিস ফন্ট, নিজের নাম না দেওয়া, যুক্ত নাম ব্যবহার করা। এমন নাম বা পরিচয় ব্যবহার না করে রিয়েল নাম, ঠিকান দেওয়া। এতে একাউন্টের সমস্যা হলে সহজে সমাধান করা যায়।
অনেকে আছে যারা ফেজবুক চালিয়ে লগআউট না করেই ফেজবুক থেকে চলে আসে এতে ফেজবুক একাউন্ট হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফেজবুক হ্যাক হওয়া বাচাতে যে গুলো স্পামিং লিংক বা অন্য কোনও লিংকে প্রবেশ না করা। কারন ঔসব লিংকের মাধ্যমে ফেজবুকের সমস্যা হয় এবং হ্যাক(facebook account hacked) হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
টু স্টেপ ভেরিফিকেশন করে রাখলে একটি সুবিধা হলো, আপনার ইউজার নাম ও পাসওয়ার্ড (facebook login sign
,log into facebook)জানলেও আপনার মোবাইলে আসা কোড নম্বর ছাড়া সে ফেজবুকের কোনও সমস্যা করতে পারবে না।
আমরা অনেকেই সহজ পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকি এতে একাউন্টে সমস্যা হয়।আর যদি বেশি সংখ্যার পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয় তবে ফেজবুক একাউন্টের কোনও সমস্যা হবে না।facebook account hacked থেকে রক্ষা পাবে।
আপনার পাসওয়ার্ড(facebook password)এবং কোড নম্বর অন্য কাউকে দেখানো বা দেওয়া উচিত নয় এতে হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারেন।
আমরা অনেকেউ যেকোনও সমস্যা হলে অন্য কারো মোবাইলে আমাদের ফেজবুক একাউন্ট (facebook login check)
খুলে থাকি। আপনারা জনেন সেই ক্ষেত্রে সকল সেভিং ডাটা ক্রোম ব্রাউজারে জমা থাকে।পরে সেই মোবাইল ব্যবহারকরী আপনার একাউন্টে ঠুকতে পারে পরে সমস্যা করতে পারে। অন্য কারো মোবাইলে আপনার ফেজবুক একাউন্ট লগইন করলে অবশ্যই ক্রোম ব্রাউজারে ️Incognito Mode এর ব্যবহার করবেন।
▪️ফেজবুক প্রোফাইলের তথ্য লুকানো
জন্ম তারিখ, জন্ম সাল, ইমেইল ও ফোন নাম্বার এগুলো আপনার ব্যক্তিগত তথ্য।আর ব্যক্তিগত তথ্য লুকিয়ে রাখাই ভালো কারন এগুলোর মাধ্যমে ফেজবুক হ্যাক(facebook account hacked)হতে পারে হ্যাকারদের দ্বারা।
কি কারনে ফেজবুক আইডি ডিজেবল হয় |How to solved facebook account disabled
▪️ ফেজবুকের নতুন নিয়মের সাথে আবডেট থাকা
ফেজবুক তার সিকিউরিটি দিন দিন পরিবর্তন করছে। আর সেই পরিবর্তন সাথে আপনাকে আবডেট থাকতে হবে।