Biography of Muhammad SAW : Part 2 |Muhammad Religious leader | মুহাম্মদ সাঃ জীবনী পর্বঃ২

 Biography of Muhammad SAW : Part 2 |Muhammad Religious leader | মুহাম্মদ সাঃ জীবনী পর্বঃ২


Biography of Muhammad SAW : Part 2 |Muhammad Religious leader | মুহাম্মদ সাঃ জীবনী পর্বঃ২


শৈশব ও যৌবনকাল এবং অন্যান্য ঘটনা

Muhammad SA: Childhood and youth in life and other events.


যে ঘটনাগুলো লেখা হয়েছে.....

১.দুধ মাতা সওবিয়া ও হালিমা

২.দুটি শোকাবহ ঘটনা

৩.মঠবাসী যাজক

৪.হিলফুল ফুজুল

৫.বিবাহ

৬.কাবাগৃহ পুনঃনির্মান



১. দুধ-মাতা সওবিয়া ও হালিমা


Who was Muhammad SAW's milk mother? 

Who was raised after the birth of Muhammad SA?


 আরবের প্রথা অনুযায়ী পুত্র জন্মগ্রহণ করার পর তাকে বেদুহন পরিবারের মাঝে কিছুদিন অবস্থান করার রীতি ছিল। শহর এলাকার বিচ্ছিন্ন করে ভাবা যায় না। বেদুইনরা ছিল স্বাধীন। দিগন্তরবিস্তুত সরুভৃমির মাঝে তারা নিজেদেরকে বন্ধনমুক্ত হিসেবে গণ্য করত। বেদুইনদের ভাষার লালিত্য ও বাগীতা সুপ্রসিদ্ধ ছিল। এ কারণে শহরবাসীরা তাদের পুত্র সন্তানকে বেদুইনদের পরিবারে পাঠাত। সেখানে এসব শিশু উন্যক্ত সতেজ বায়, শুদ্ধ আরবী উচ্চারণ ও মনের স্বাধীনতার পরিবেশে সময় কাটাতে পারত। পরবর্তী জীবনে এর প্রভাব তাদের উপর অবশ্যই পড়ত। 


 জন্মের পর কয়েকদিন শিশু মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর চাচা আবু লাহাবের এক দাসীর বুকের দুধ পান করেন। এই দাসীর নাম সওবিয়া। মুহাম্মদ (সঃ) আজীবন তাঁকে শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন। খায়বর যুদ্ধ থেকে ফেরার পর তিনি জানতে পারেন যে, সওবিয়ার মৃত্যু হয়েছে। 


সওবিয়ার পর বিবি হালিমার কাছে মুহাম্মদ (সঃ)-কে অর্পণ করা হয়। বিবি হালিমার পিতার নাম আবু জুয়ায়েব এবং স্বামীর নাম হারিস। বিবি হালিমা ছিলেন আরবের হাওয়াজিন বংশের বনি সাদ গােত্রের। মক্কার দক্ষিণ-পূর্বে তারা বাস করতেন। সন্তান লালন-পালনের জন্য এই গোেত্রের খ্যাতি ছিল। বিবি হালিমার তিন কন্যা ও এক পুত্র ছিল। পুত্রের নাম আবদুল্লাহ এবং কন্যাদের নাম হল আনিসা, হুযায়ফা ও শায়মা। 


আমিনা তাঁর তারা মাঝে মাঝে কুরাইশদের কাছে আসত। ঐ বছর মক্কায় প্রাচও্ত খরা হয়। ঐ খরার সময়ে বিবি হালিমা, তাঁর স্বামী হারিস এবং তাঁদের এক শিত পুত্রকে নিয়ে তাঁরা মককায় আসেন। অন্যান্য পরিবারের সদস্যরাও মকায় অসে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল কোন শিশু পুত্রকে লালন-পালনের জন্য গ্রহণ করা


পরবর্তীকালে বিবি হালিমা বলেন ও "আমিনা তাঁর পুত্রকে গ্রহণ করার জন্য প্রথমে একজনকে বলেন, পরে অন্যকে বলেন এবং এভাবে একে একে সবাইকে বলেন। কিন্ত্র কেউ তাঁর প্রস্তাবে রাজী হল না। কারণ ঐ পুত্র সন্তানটি ছিল এতিম-শুধু মা আর পিতামহ কি আর দিতে পারবে। অবশ্য শিশুপুত্র লালন-পালনের জন্য তারা সরাসরি কোন কিছু নেওয়াকে অসম্মান মনে করতি। 


তবে পরােক্ষভাবে তারা অনেক কিছুই আশা করত। দুধ-মাতা পরােক্ষভাবে শহরে এমন এক পুত্রকে লাভ করত যে আজীবন তাকে শ্রদ্ধাा করবে, দুঃখের সময় তার পাশে দাঁড়াবে। ঐ পুত্রের পিতা-মাতাও সহায়তার কোন আশা ছিল না। তাঁর পিতা নেই, বৃদ্ধ পিতামহ কতদিন বেঁচে থাকবে তার ঠিক নেই। পুত্রের মা আমিনার কাছ থেকে আর কি এমন পাওয়া যাবে। মুহাম্মদ (সঃ) বড় না হলে। তাঁর কাছ থেকে কোন কিছু আশা করা বৃথা। এসব বিবেচনায় তারা সবাই মুহাম্মদ (সঃ) -কে গ্রহণ করতে আমিনার অনুরােধে সাড়া দিল না।" বিধি হালিমাও গরীব ছিলেন। তাই তিনি ছাড়া। আর সবাই লালন-পালনের জন্য শিশু পুত্র পান। 


বিবি হালিমার কথায় ও "একমাত্র গরীব দুধ-মাতা কোন শিশু পেল না ; আর গরীব শিণু কোন দুধ- মাতা পেল না।" কিন্তু কোন শিগুকে না নিয়ে ফেরত যেতে হালিমা ইতস্ততঃ করলেন। তাই তিনি মুহাম্মদ (সঃ)-কে গ্রহণ করলেন। ঐ শিশুকে গ্রহণ করার পর তাঁদের অবস্থার আকস্মিক পরিবর্তন হওয়ায় বিবি হালিমার স্বামী তাঁকে বলেন ও "তৃমি আশীর্বাদপ্রাপ্ত এক শিশুকে গ্রহণ করেছ।" মুহাম্মদ (সঃ)-এর দু'বছর বয়সের সময় হালিমা তাঁকে মন্ধায় তাঁর মায়ের কাছে নিয়ে যান। তাঁকে পুনরায় নিয়ে আসার জন্য হালিমা শিশুর মায়ের কাছে অনুরােধ করেন এবং অবশেষে আমিনা তার অনুরোধে সম্মতি জানান। 


আরো পড়ুনঃ 

1.How to increase blog traffic?

2.কিভাবে আপনার ব্লগ সাইট পেজ কে অপটিমাইজেশন করবেন?


উল্লেখ্য যে, ঐ সময় মক্কায় প্লেগ মহামারী আকারে দেখা দেয় এবং ঐ কারণে আমিনা তাঁর অনুরোধে রাজী হন। মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর দুরধ-ভাই ও দুরধ-বানদের সাথে মিশে মাঠে ছাগল চরাতে যতেন। আল্লাহ যাকে বিশ্বের জন্য রহমতস্বরূপ করে পাঠিয়েছেন সেই মুহাম্মদ (সঃ) দিগন্তবিস্তুত মরুভৃমির মাঝে ছাগল-মেষ চরাচ্ছেন, একথা ভাবতেও অবাক লাগে। উন্যক্ত আকাশ, দিন ও রাতের পরিবর্তন, মেঘমুক্ত আকাশে অসংখ্য তারকা, সতেজ বায় সবকিছু শিওু মুহাম্মদ (সঃ)-এর মনের উপর এক অপার্থিব প্রভাব বিস্তার কর। বিবি হালিমা বলেন আমি বিশেষভাবে লক্ষ্য করেছি উথানে-উপবেশনে, কথােপকথনে বা মৌনাবল্নে


মহাম্মদের শৈশব জীবনের প্রত্যেক কাজেই একটা অতি অসাধারণ মহত্তের ভাব স্বতই যেন ফুটে উঠত।" ইবনে ইসহাক বিবি হালিমার বরাত দিয়ে একটি ঘটনার বিবরণ দেন। বিবি হালিমা বলেন ও "একদিন আমাদের তাঁবুর পাশে মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর দুধ-ভাইদের সাথে মেষ চরাচ্ছিল। এমন সময় আমার পুত্র দৌড়ে এসে আমাদের বলে যে, সাদা পােশাকধারী দু'জন লোক আমার কুরাইশ ভাইকে নিয় মাটিতে শুইয়ে দেয় এবং তার বক্ষ উন্মুক্ত করে হাত দিয়ে সেলাই করে দেয়। একথা শুনে আমি ও আমার স্বামী সেখানে গিয়ে তাকে বিবর্ণ অবস্থায় দেখতে পাই। "আমরা তাকে কাছে ডেকে কি হয়েছে জিজ্ঞেস করি। সে বলে, সাদা পােশাক পরা দু'জন লোক এসে আমাকে মাটিতে শুইয়ে দেয় এবং আমার বক্ষ উন্মুক্ত করে কি যেন একটা বস্তু খুঁজছিল তা আমি বলতে পারব না। একথা শুনে আমি ও আমার স্বামী এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলাম। কিন্তু কাউকে দেখতে পেলাম না। তাঁর শরীরে কোন রক্ত বা কাটার চিহ্ন দেখতে পেলাম না।" বিবি হালিম বলেন বলে বিভিন্ন সূত্র উদ্ধতি দিয়ে হাজী মাহবুব কাশিম

Destruction or Peace' প্রস্রাব করে বিছানা অপরিষ্কার করতেন না। দিনে একবার তিনি নির্দিষ্ট সময়ে প্রসাব-পায়খানা করতেন। দুই মাস বয়সের সময় মুহাম্মদ হামাগুড়ি দিতে পারতেন। তিন মাস বয়সের সময় তিনি দেওয়াল ধরে হাটতে পারতেন। সাত মাস বয়সের সময় তিনি দৌড়াতে পারতেন এবং আট মাস বয়সের সময় তিনি কথা বলতে পারতেন । তার দেহের কোন ছায়া মাটিতে পড়ত না। 


২. দুটি শােকাবহ ঘটনা 


Want to know two shocking events in the life of Muhammad SA?


বিবি হালিমা ও তাঁর স্বামীর স্থির বিশ্বাস ছিল যে, তাদের পুত্র এবং মুহাম্মদ (সঃ) ঘটনা সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলে নাই। এক অজানা আশংকায়। শস্কিত হয়ে বিবি হালিমা মুহাম্মদ (সঃ)-কে সাথে করে তাঁর মায়ের কাছে নিয়ে আসেন। প্রথমে হালিমা কোন কথা বলতে চান নাই। কিন্তু আমিনার কাছে কোন কথা লুকাতে তাঁর মন সায় দিচ্ছিল না। তিনি আমিনার কাছে ঐ ঘটনার কথা বলে তার আশংকার কথা প্রকাশ করেন। সব কথা শগনে হালিমার আশংকার কথা বাতিল করে দিয়ে আমিনা বলেন " আমার শিশু পুত্রের মাঝে বিরাট কিছু লকিয়ে আছে।" এ সময় আমিনা তাঁর পুত্রকে নিজের কাছেই রেখে দেন। শিশু মুহাম্মদ সাঃ তার মায়ের কোলেই ফিরে এলেন।পরে তিন বছর


তান তার মায়ের সাথে আনন্দ কাটান এবং দাদা আবদল মুক্তালিবের ঘানিষ্ঠ সান্নিধ্যে থেকে তাঁর গভীর স্নেহ লাভ করন। পরিবারের সবার সাথে তার মুহাম্মদ (সঃ)-এর বয়েস যখন ছ' বছর তখন আমিনা তাকে নিয়ে ইয়াছরিবে তাঁর জ্াতি সম্পর্কীয় পরিবারে বেড়াতে যান। তাঁদের সাথে যায় বারাখা। এই বারাখা হল শিশু মহাম্মদ (সঃ)-এর একজন অনুগত ক্রীতদাসী। পরবর্তীকালে মুহাম্মদ (সঃ) ইয়াছরিবে খাযরাজ গােত্রের একজন লোকের পুকুরে কিভাবে সাঁতার দেওয়া শেখেন এবং ছেলেরা কিভাবে তাঁকে ঘুড়ি উড়াতে শেখায় তা স্মরণ করেন। খাযরাজ গোত্রের ঐ লোেকের বাড়িতেই তারা অবস্থান করেন । কিন্তু ফেরার সময় বেশ কিছু পথ আসার পর আমিনা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং আবওয়া নামক স্থানে তারা যাত্রাবিরতি করেন। কয়েক দিন পর আমিনা সেখানে মত্যবরণ করেন এবং সেখানেই তাঁকে কবর দেওয়া হয়। বারাখা শিশু মুহাম্মদ (সঃ)-কে সাথে নিয়ে একটি মরুযাত্রী দলের সাথে মক্কায় ফিরে আসেন। আগে মুহাম্মদ (সঃ) পিতৃহীন ছিলেন, এবার হলন মাতহীন। এ সময় পিতামহ আবদুল মুত্তালিব শিশু মুহাম্মদ (সঃ)-এর লালন- পালনের ভার নিলেন।


 তিনি এই পৌত্রকে এমন গভীরভাবে ভালবাসতেন যে, মনে হয় পুত্র আবদুল্লাহর প্রতি তাঁর য ম্নেহ ভালবাসা ছিল তা সব তার উপরই আপতিত হয়েছে। আবদুল মুত্তালিব সব সময় কাবার পাশে থাকত ভালবাসতেন। হিজর-এ ঘুমানো তাঁর যেন অভ্যাসে পরিণত হয়। এ কারণে মধ্যে কেউ ঐ খাটে বসত না। কিন্তু শিশু মুহাম্মদ (সঃ) নিশ্চিত্তে ঐ খাটে গিয়ে বসতেন। ঐ খাটে কেউ তাকে বসতে বারণ করলে আবদুল মুত্তালিব বলতেন ও " আমার এই পৌত্রকে বসতে দাও। খােদার কসম, ভবিষ্যতে স খ্যাতিমান হবে।" লোকেরা প্রায়ই দেখত যে, আবদুল মুত্তালিব ও মুহাম্মদ (সঃ) হাত ধরাধরি করে কাবা বা আশেপাশের এলাকায় হেঁটে বেডাচ্ছে। 


এমনকি আবদুল মুত্তালিব তাঁকে নিয়ে মন্ত্রণা সভাগহেও যোগদান করতেন। মায়ের মৃত্যুর দুবছর পর মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর পিতামহক হারালেন । মৃত্যুর সময় আবদুল মুত্তালিব তাঁর পুত্র আবু তালিবের হাতে মুহাম্মদ (সঃ)- এর লালন-পালনের ভার দিয়ে যান। আবু তালিব এ দায়িত্ব আজীবন অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে পালন করেন। এজন্য তাকে অনেক নির্যাতন ও নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছিল। মুহাম্মদ (সং)-এর ৫০ বছর বয়সের সময় আবু তালিব মারা যান।


৩.মঠবাসী যাজক


What happened to Muhammad SAW and the monastery priest?


 আবদুল মুত্তালিব যখন মারা যান তখন তিনি তাঁর পুত্রদের জন্য যথেষ্ট সম্পদ রেখে যেতে পারেন নি। তার পুত্রদের মধ্যে একমাত্র আবূ লাহাব বেশ। সম্পদশালী ছিল। আব তালিব ছিলেন গরীব। ফলে মুহাম্মদ (সঃ) নিজের চেষ্টায় কিছু আয় করার চেষ্ট্া কারেন। তিনি মেষ ও ছাগল চরানোর কাজ শুরু করেন। দিনের পর দিন তিনি মক্কার কাছাকাছি পাহাড়ে বা উপত্যকার ঢালু এলাকায় মেষ-ছাগল চরান। আবু তালিবের পরিবারের অন্যান্য যুবকদের মত মুহাম্মদ (সঃ)-কেও কঠার পরিশ্রম করতে হত। সাধারণ করাইশ যুবকদের মতই তিনি যুদ্ধ- বিগ্রহ, আপােষ-মীমাংসা ও আলাপ-আলােচনায় অংশগ্রহণ করতেন এবং সামাজিক জীবনের অধিকার অর্জন ও কর্তব্য পালনে অংশীদার ছিলেন।

আরো পড়ুনঃ 

1.How to increase blog traffic?

2.কিভাবে আপনার ব্লগ সাইট পেজ কে অপটিমাইজেশন করবেন?


 একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল এই যে, বাল্যজীবন থেকে মুর্তিপূজার প্রতি ঘৃণা ও উজ্জা নামক দুই। তাঁর স্বভাবে পরিলন্ষিত হত। তাকে একবার যখন লাত দেবীর নামে কোন বিশেষ কাজ করার কথা বলা হয় তখন তিনি বলেন ও এই মু্তিগ্ুলোর দোহাই দিয়ে আমাকে কিছু বল না, এই মুর্তিগুলোর চেয়ে অন্য কিছুকে আমি বেশি ঘুণা করিনে।" তবু নিজ গোত্রের এসব দেবতা বা মুর্তির প্রতি দঢ় অনাস্থা প্রকাশের জন্য তাঁর আত্মীয়-স্বজন তাঁকে ত্যাগ করেন নাই। তিনি তাঁর মহান চরিত্র, বদান্যতা এবং সততার মাধ্যমে সবার হৃদয় জয় করেন। চল্লিশ বছর বয়সে আল্লাহর একতু প্রচার করতে গিয়ে যখন তিনি মৃ্তিপূজার বিরুদ্ধে কথা বলেন তখন তার স্বগােত্রীয়রা তাঁর বিরুদ্ধাচরণ ও নানাভাবে তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করে। তাঁর চাচা আবু তালিব তাঁকে মাঝে মাঝে ব্যবসার কাজে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতেন। 


একবার তিনি তাঁর চাচার সাথে ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়ায় যান। এ সময় তাঁর বয়স ছিল নয়, মতান্তরে বারে বছর। সিরিয়া যাওয়ার পথে মক্কার বণিক যাত্রীদল বােস্ত্রা নামক স্থানে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য যাত্রাবিরতি করতেন। এ স্থানে বহিরা নামে একজন খ্রীস্টান মঠবাসী যাজক বাস করতন। বহিরা মনে করতেন যে, তাঁর জীবদ্দশায় তিনি একজন নবীকে দেখে যেতে পারবেন। এবার মন্কার ঐ বণিক দলের অগমনের সাথে সাথে তিনি এক বিস্বয়কর দৃশ্য লক্ষ্য করেন। তিনি লক্ষ্য করেন যে, বণিক দলের যাত্রাপথে একখণ্ড মেঘ তাদের মাথার উপর ধীরে ধীরে আগ্রসর হচ্ছিল। তারপর ঐ যাত্রীদল যখন একটা গাছের নিচে এসে থামে তথন ঐ গেঘখণ্টিও গাছের উপর থেমে যায় এবং গাছের ডালপালাও নিছু হায়ে যায়।



এ দৃশ্য দেখে বহিরা বিস্য়াভিভূত হন। তিনি মনে করেন, তবে কি এই বণিক যাত্রীদলের মধ্যই সেই প্রত্যাশিত নবী আছেন ? তিনি ঐ যাত্রদলের সবাহকে খাদ্য গ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানান। গাছের নিচে উট ও মালপরত্র দেখার জন্য মুহাম্মদ (সঃ)-কে রেখে তারা সবাই বহিরার কাছে যায়। বাহিরা তাদের সবাইকে গভীরভাবে লক্ষ্য করেন। কিন্তু তিনি হতাশ হলেন। কারও চেহারায় তিনি তেমন কোন বশিষ্ট্য লক্ষ্য করলেন না। জিজ্ঞেস করে তিান জানতে পারিলেন, দলের একজনকে তারা তাদের উট ও মালপত্র দেখার জন্য দেখে বহিরা অবাক হলেন। তাঁর চিন্তা ও চেতনায় নবীর যে মুখাবয়ব ভাসমান ছিল তা তিনি ঐ বালকের মধ্যে দেখতে পেলেন। তিনি ঐ বালকের সাথে কথা বললেন অত্যন্ত ভ্দ্রতার সাথে এবং জামা খুলে ঘাড়ের কাছে নবীর সীলমােহর দেখে নিলেন। তিনি আবু তালিবকে সতর্ক করে দিলেন १ আমি ঐ বালকের মাঝে যা দেখছি তা ইহুদীরা জানতে পারলে তার ক্ষতি করবে। তামার ভাই-এর ছেলের মধ্যে একটা বিরাট কিছু লুকিয়ে আছে।" 


৪.হিলফুল ফুজুল 


What is Hilful Fuzul? Why is Hilful Fuzul important in Islam?


সিরিয়া থেকে ফিরে আসার পর মুহাম্মদ (সঃ) আগের মতই নিরিবিলি জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। এ সময় আকম্মিকভাবে কুরাইশরা একটা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। কিনানাহ গােত্রের একজন লোক আমির গােত্রের একজন লােককে হত্যা করে খায়বার-এ গিয়ে আশ্রয় নেয়। প্রতিশোেধ গ্রহণের জন্য আমির গােত্রের লােকেরা কিনানাহ গোত্রের লোকদের উপর আক্রমণ চালায়। এই কিনানাহ গােত্রের সাথে কুরাইশদের একটা মৈত্রী বন্ধন ছিল। এই সংঘর্ষ প্রায় তিন-চার বছর দীর্ঘায়িত হয়। কিন্তু আসল যুদ্ধ হয় মাত্র পাঁচ দিন। জুবায়ের ও আবু তালিব যুবক মুহাম্মদ (সঃ)-কে সাথে নিয়ে যুদ্ধে যান। কিনত্তু মুহাম্মদ (সঃ) যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন নাই বলে তাঁরা জানান। তিনি গুধু শক্রদের নিক্ষিপ্ত তীর সংগ্রহ করে তাঁর চাচাদের হাতে দেন। 


কিন্ত্র কুরাইশ ও তার মিত্র গগােষ্ঠী যেদিন যুদ্ধে বিপদের সম্মুখীন হয় সেদিন মুহাম্মদ (সঃ)-কে ধনুক পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয় এবং তিনি এ কাজে তাঁর যোেগ্যতার স্বাক্ষর রাখেন। এ সময় মক্কায় একটি ঘটনা ঘটে। ইয়েমেনের জাবিদ বন্দরের একজন বাণিক সাহম গােত্রের একজন খ্যাতনামা ব্যতক্তির কাছে কিছু মুল্যবান সামগ্রী বিক্রি করে। কিন্তু পরে সে প্রস্তাবিত দাম দিতে অস্বীকার করে। ঐ বণিকের মক্ায় এমন কোন লোক ছিল না যার কাছে গিয়ে সে এ ব্যাপারে সাহায্য



প্রার্থনা করতে পারে। এজনয সে আব কবায়স পর্বতের ঢালুতে গিয়ে কুরাইশদের কাছে সাহায্য প্রাথনা করে। তার এই আহবানে কুরাইশদের অনেকে সাড়া দেয়। তায়ম গোেত্রপ্রধান আবদুলহ ইবন জুদান তাঁর গৃহে এমন সব লোকদের আহবান করেন যারা ন্যায়বিচারকে ভালবাসে । দুর্বলকে কা করা এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তায়ম গােত্র প্রধান আবদুল্লাহ ইবন জুদান, হাশিম গােত্রের জুবায়ের এবং মুহাম্মদ (সঃ) প্রতিজ্ঞা করেন। এর ফলশ্রতিতে গড়ে উঠे হিলফুল ফুজুল ঐ শপথের মুল বিষয়গুলো হলঃ

(ক) আমরা নিঃস্ব অসহায় ও দুর্গতদের সেবা করব ; 

(খ) অত্যাচারীকে প্রাণপণে বাধা দেব ; 

(গ) আত্যাচারিতকে সাহায্য করব ; 

(ঘ) দেশের শান্ত ও শংখলা রক্ষা করব ;

 (ঙ) বিভিন্ন গােত্রের মধ্যে  সম্প্রীতি স্হাপন চেষ্টা করবো 

  মুহাম্মদ (সঃ) এই প্রতিজ্ঞা কখনও বিস্মত হন নাই। তিনি বলেন ও "যদি কোন উৎপীড়িত ব্যক্ বলে, হে আলে হিলফুল ফুজুল, আমি সেই আহবানের উত্তর দেই ; কারণ সত্য প্রতিষ্ঠা ও উৎপীড়িত ব্যক্তির সাহায্যের জন্য ইসলাম সমাগম হয়েছে। 


৫.বিবাহ


How old is Muhammad SA marriage? Whom did Muhammad SAW marry? Muhammad sa marriage incident.


 বিশ বছর বয়সের পর থেকে মুহাম্মদ (সঃ) বিভিন্ন বণিক যাত্রীদলের সাথে বিদেশে ভ্রমণের আমন্ত্রণ পান। একবার তিনি এমন এক ব্যক্তির কাছ থেকে অনুরূপ এক আমন্ত্রণ পান যিনি সফরে যেতে সমর্থ ছিলেন না। ফলে মুহাম্মদ (সঃ)-কে তার যাবতীয় সামগ্রীর ক্রয়-বিক্রয়ের দায়িত গ্রহণ করতে হয়। এই দায়িত্ব পালনে তিনি এতটাই সফল হন যে, অন্য অনেকেই তাঁর উপর অনুরূপ দায়িত্ অর্পণ করেন। ফলে মুহাম্মদ (সঃ) আর্থিক দিক থেকে কিছটা সচ্ছুল হয়ে ওঠেন। ইতিমধ্যে তিনি তাঁর বিশ্বস্ততার জন্য মক্কার লােকদের কাছে "আল-আমীন' উপাধিতে ভূষিত হন। সবাই তাঁকে একজন উপর তাদের ব্যবসার ভার ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকে। মন্ধার একজন ধনাঢ মহিলা ব্যবসায়ী পারিবারিক সূত্রে মৃহাম্মদ (সঃ) -এর সততা ও বিশ্বন্ততার কথা শােনেন। এই মহিলার নাম খাদীজা এবং তাঁর পিতার নাম খুয়ালি। এই মহিলার বিয়ে হয় দুখার এবং ছ্বিতীয় স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি বিভিন্ন


সময় বিভিন্ন লােককে অর্থের বিনিময়ে নিজের ব্যবসার কাজে নিয়ােগ করতেন। খাদীজা একবার মুহাম্মদ (সঃ) -এর কাছে সরিয়ায় তাঁর ব্যবসার কাজে নিয়ােগ করার প্রস্তাব করেন। তিনি তাঁকে জানান যে, অনুরূপ কাজের জন্য কুরাইশদের অন্য কাউকে যে অর্থ তিনি দিতেন তাঁকে তার দ্বিগুণ দেওয়া হবে এবং তাঁর কাজে সহায়তার জন্য মায়সারা নামের একটা ছেলেকে সাথে দেওয়া হবে। মুহাম্মদ (সঃ) এই প্রস্তাবে সম্মত হন এবং খাদীজার পণ্যসামগ্রীসহ মায়সারাকে নিয়ে তিনি সিরিয়ার পথে যাত্রা করেন। এবার ও মুহাম্মদ (সঃ) যাত্রাপথে বোস্ত্রা নামক স্থানে এবং সম্ভবতঃ একই গাছের নিচে যাত্রাবিরতি করেন। ইতিমধ্যে মঠবাসী যাজক বহিরা মারা যান এবং তার স্থুলাভিষিক্ত হন নেষ্টর নামে অপর একজন। তিনিও মুহাম্মদ (সঃ) সম্পর্কে বহিরার মত মন্তব্য করেন। 


তিনি বলেন ও "গাছের নিচে যিনি বসে আছেন তিনি একজন নবী।" অতঃপর তাঁরা সিরিয়া যান এবং কাজ শেষে মক্কায় ফিরে আসেন। মঠेবাসী যাজক নেষ্টর-এর কথা বালক মায়সারার মনে গভীরভাবে রেখাপাত করে। এছাড়া আর একটা বিষয় তাকে বেশ ভাবিয়ে তােলে। সে অনুভব করে যে, এবারকার যাত্রায় সূর্ষের তাপ ছিল কম। একদিন সে অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করে যে, দুজন ফেরেশতা মুহাম্মদ (সঃ)- কে সুর্ষের কিরণ থেকে রক্ষা করছে। মক্কায় ফিরে তাঁরা সরাসরি খাদীজার গহে যান। তারা সিরিয়ায় যে পণ্যসামগ্রী নিয়ে গিয়েছিলেন তা বিত্রি করে যে অর্থ পান তা দিয়ে ক্রীত পণ্য সামগ্রীসহ তাঁরা খাদীজার গুহে যান। মুহাম্মদ (সঃ) ঐ সফরের কথা এবং পণ্য ক্রয়-বিত্রয়ের কথা খাদীজাকে বলেন। যে সব পণ্যসামগ্রী তাঁরা নিয়ে আসেন তা প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয়ে যাওয়ায় আশাতীত লাভ হয়। 

আরো পড়ুনঃ 

1.How to increase blog traffic?

2.কিভাবে আপনার ব্লগ সাইট পেজ কে অপটিমাইজেশন করবেন?


কিন্তু খাদীজার চিন্তায় এসব কথা ছিল না। তিনি চিন্তা করছিলেন এই সুদর্শন ও বিশ্বস্ত যুবক তাঁকে কি বিয়ে করতে সম্মত হবে ? কারণ খাদীজা ছিলেন মুহাম্মদ (সঃ)-এর চেয়ে পনের বছরের বড়। মুহাম্মদ (সঃ) চালে গেলে খাদীজা তাঁর বান্ধবী নৃফায়সাকে ডাকেন এবং মুহাম্মদ (সঃ)-এর সাথে তাঁর বিয়ের ব্যাপারে আলোচনা করেন। নূফায়সা এ ব্যাপারে মুহাম্মদ (সং)-এর সাথে আলোেচনা করেন এবং জানতে পারেন যে। খাদীজার সাথে বিয়েতে তাঁর আপত্তি নেই। পরে উভয় পক্ষের ওুরুজনদের সমতি ও তত্াবধানে তাঁদের বিয়ে সম্পাদিত হয়। সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, মুহাম্মদ (সঃ) যৌতুক হিসেবে কুড়িটি মাদী উট প্রদান করবেন। বিয়ের পর মুহাম্মদ (সঃ) চাচা আবু তালিবের গৃহ ছেড়ে ত্রী খাীজার গৃহে চলে আসেন। তাদের এই বিয়ে অত্যন্ত সখের। তাদের মোট ছয়টি



সন্তান হয়এর মধ্যে দু'জন পত্র এবং চারজন কন্যা। প্রথম ছেলে কামিম দুই বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই মারা যায়। এরপর জয়নাব, রােকাইয়া, উন্নে কুলসুম এবং ফাতিমা জন্গ্রহণ করে। সবশেষে এক পুত্র সন্তান হয়, কিন্তু অল্পদিন পরেই সে মারা যায় । এর নাম আবদুল্াহ। বিয়ের দিন মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর পিতার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসুত্রে প্রাপ্ত বিশ্বস্ত ক্রীতদাসী বারাখা-কে মুক্ত করে দেন। খাদীজা তাঁর নিজের দাস পনের বছরের জায়দকে উপটৌকন হিসেবে মুহাম্মদ (সঃ)-কে দেন। মহানবী তাঁকে মুক্ত করে দিলেও তিনি তাদের কাছেই থেকে যান। তারা বারাখা-কে ইয়াছরিবের একজন লােকের সাথে বিয়ে দেন। 


তাদের এক পূত্র সন্তান হয়, নাম রাখা। হয় আইমান। আইমানের মা অর্থাৎ উম্মে আইমান হিসেবে বারাখা পরিচিত হয়। মুহাম্মদ (সং) পুত্র হিসেব গ্রহণ করেন জায়দক। তাঁদের বাড়িতে মাঝে মাঝে মুহাম্মদ (সঃ)-এর দুধ মাতা বিবি হালিমা আসতেন। খাদীজাও তাঁর প্রতি সদয় ব্যবহার করতেন। একবার এক ব্যাপক খরায় বিবি হালিমার মেষপালের খুবই ক্ষতি হয়। খাদীজা তাঁকে চল্লিশটি মেষ ও একটা উট দেন। এই খরার কারণে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষের সময় তাদের গৃহে মুহাম্মদ (সঃ) তাঁর চাচা আবু তালিবের পূত্র আলীকে নিয়ে আসেন। পরবর্তীকালে মুহাম্মদ (সঃ) ও খাদীজা (রাঃ) তাঁদের কন্যা জয়নাবকে বিয়ে দেন আবুল আস-এর সাথে । 


আবুল আস হলেন খাদীজার বােন হালাহ-এর পুত্র। তাদের অপর দুই কন্যা রােকাইয়া ও উম্মে কুলসমকে বাগদান করা হয় আবু লাহাবের দুই পত্র উতবা এবং উতাইবার সাথে। ইসলাম বিরোধী হওয়ার কারণে তারা দুই বোেনকে ত্যাগ করলে হযরত উসমান প্রথমে রােকাইয়া এবং তাঁর মত্যুর পর উন্মে কুলসূমকে বিয়ে করেন। আর ফাতিমাকে বিয়ে দেওয়া হয় আলীর সাথে। মুহাম্মদ সঃ) ও খাদীজা (রাঃ)-এর গৃহে অন্য একজন আশ্রয় নেন। তিনি হলেন উ্মে আইমান। তিনি কি বিধবা হয়ে বা স্বামী কর্তক তালাকপ্রাপ্তা হয়ে ইয়াছরিব থেকে চলে আসেন তা জানা যায় না। তিনি জানতেন, মুহাম্মদ (সঃ)-এর কাছে তাঁর আশ্রয় নিঃসন্দেহে পাওয়া যাবে। মুহাম্মদ (সঃ) তাঁকে মাঝে মাবেঝ মা বলে ডাকতেন। 


৬.কা'বাগৃহ পুনঃনির্মাণ 


Why was the Ka'bah rebuilt during the time of Muhammad SAW? What causes the Ka'bah to be rebuilt?


কাবাগৃহ ছিল নিচু সমতল ভূমিতে। এর কোন ছাদ ছিল না। শুধুমাত্র মানুষ সমান দেওয়াল ছিল সমচতুষ্কোণী। বষ্টির পানি কাবার অভ্যন্তরে



প্রবেশ করার ফলে এর বেশ ক্ষতি হত। তদুপরি ছাদ না থাকায় কেউ ইচ্ছা করলে কাবার মধ্যে প্রবেশ করতে পারত। কা'বাগুহের বাইরের দেওয়ালে একবার আগুন লাগে এবং এতে বেশ ক্ষতি হয়। এসব কারণে কা বাগৃহ সংস্কারের প্রয়ােজনীয়তা দেখা দেয়। এ সময় একটা গ্রীক বাণিজ্য জাহাজ ঝাড়ে পতিত হয়ে জেদ্দা বন্দরে ভগ্রপ্রাপ্ত হয়। কাবা গুহের ছাদ নির্মাণ করার জন্য কুরাইশরা এই জাহাজের কাঠ ক্রয় করে। স্থাপনের সময় বিবাদ বাধে। সবাই এই গৌরবময় কাজ সম্পাদনের জন্য তৈরি ছিল। ফলে আর একটা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভাবনা দেখা গেল । চার- পাঁচ দিন ভীষণ উত্তেজনার মধ্য দিয়ে কেঁটে গেল।


 কারণ হজরে আসোয়াদ স্থাপনের মত সম্মানিত কাজ করা থেকে কেউ বিরত থাকতে রাজী ছিল না। এসময় কুরাইশদের মধ্যে একজন সম্মানী ব্যক্তি উমাইয়া বিন মুগীরা প্রস্তাব করেন যে, আগামীকাল প্রত্যুষে যিনি প্রথম কা'বাঘরে আসবেন তার উপর এ সমস্যা সমাধানের ভার দেওয়া হাক। তাঁর এ প্রস্তাবে সবাই সম্মত হয় পরদিন সবার আগে কা বাগৃহে যিনি প্রবেশ করেন তিনি হলেন আল- আমীন। তাঁকে দেখে সবাই বলে ওঠে ও "এইতাে আমাদের আল-আমীন। তাঁর মীমাংসায় আমরা সবাই সম্মত।" মুহাম্মদ (সঃ) সব কথা শুনে একটা। চাদর আনতেত বলেন। তিনি চাদরখানি বিছিয়ে তার উপর নিজ হাতে কালোে পাথরখানি রাখেন। 


তারপর সব গোত্রের লোকদের ডেকে চাদরের প্রান্তদেশ ধরার কথা বলেন। চাদর ধরে সবাই কালাো পাথর নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যায় এবং তারপর তিনি নিজ হাতে ঐ কালো পাথরখানি নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে। দেন। এভাবে তিনি একটা সন্তাব্য গৃহ বিবাদের নিষ্পত্তি করেন সান্তি পর্ণ সম্পর্কে মুহাম্মদ এ্যান্ড দি কুরআন' গ্রন্থে জে ডেভেনপোর্ট (J.

Devenport) বলেন কাবাগুহ সংস্কারের সময় পবিত্র কালো পাথর স্থাপন নিয়ে যে বিবাদের সূত্রপাত হয় তার নিরসনে সবাই সম্মত হয় যে পরদিন সকালে কা বাগুহে প্রথম যিনি প্রবেশ করবেন তাঁর উপরই এর ভার দেওয়া হবেব। মুহাম্মদ প্রথমে কাবাগুহে প্রবেশ করেন এবং তাঁর উপরই পাথরখানি স্থাপন করেন, তাতে মনে হয় তিনি এবকটা নতুন ধর্মের ভিত্তি। যে ধর্মের নেতৃত্ব দেন তিনি নিজে পরবর্তীকালে।




৩য় পর্ব ইনশাআল্লাহ দ্রুতই আপলোড করা হবে। 


বানান এবং কিছু কথার সমস্যা ও ভুল থাকতে পারে। তাই কিছু মনে না করে, ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। 


Next Post Previous Post

Featured Posts